ত্বকের যত্নে গরমে , খাবারের তালিকায় কী কী?..

ত্বকের যত্নে গরমে , খাবারের তালিকায় কী কী?..

skin
skin
গরমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় আমাদের ত্বকের। সেই ত্বকের যত্ন নিতে কতকিছুই না করতে হয় সারাদিনে। হাজারও সানস্ক্রিন, ফেসিয়াল, মাসাজেও ঠিকঠাক কাজ দেয় না। ত্বকের ক্ষতি হয়েই চলে। আসলে ত্বককে সারানো দরকার ভিতর থেকে। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, হাইড্রেশন, প্রোটিন ও কার্যকরী ফ্যাট যদি খাবারের মাধ্যমে গ্ৰহণ করা যায়, তবে ত্বক ভিতর থেকেই যথেষ্ট সেরে ওঠে, কমে যায় রোদের ও অত্যন্ত গরমের ক্ষতিকর প্রভাবজনিত ক্ষয়।

 তাই ত্বককে গরমের ভয়াবহ পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনা। খুব চেনা কিছু খাবার যাদের সম্পর্কে আমরা প্রায় কিছুই জানি না, তারাই আমাদের ত্বককে দিতে পারে যথাযথ সুরক্ষা। প্রতি খাবারের মধ্যেই কিছু বিশেষ জৈবিক পদার্থ থাকে যা আমাদের চাহিদা মেটায়, সেগুলো নিয়েই নিচে পরপর আলোচনা রইল, যাতে সহজে বোঝা যায় কী কী পদার্থ আমাদের ত্বককে রক্ষা করতে অবশ্যই দরকার।

1.প্রোটিন জাতীয় খাবার: প্রোটিন জাতীয় খাবার আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বিশেষত যখন গরমে সূর্যের বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের সরাসরি ক্ষতি করছে। এজন্য বেছে নিন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ মাংস দুধ ডিম। মাছের প্রাণীজ প্রোটিন আপনার ত্বকের কোষগুলোর কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও কোনোরকম ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। আপনি যদি অপনার ত্বক নিয়ে সচেতন হষ, তবে গরমকালে এগুলোই আপনার প্রধান খাবার হওয়া উচিত। ফাস্টফুড মশলাদার খাবার বাদ দিয়েই শুধু ত্বককে সুস্থ রাখা যায় না, তাই শেষ উপায় কিন্তু এই প্রয়োজনীয় উপাদান সমৃদ্ধ খাবারগুলিই।


2. ক্যারোটিনয়েডস: ক্যারোটিনয়েডস আমাদের ত্বকের জন্য আরও একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। সূর্যরশ্মিতে ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মি থাকে তা ত্বকের জন্য প্রচন্ড ক্ষতিকর। টম্যাটো, গাজর, আম ইত্যাদি খাবারে থাকা আলফা আর বিটা ক্যারোটিন ত্বককে এই রশ্মিগুলির কুপ্রভাব থেকে অল্প হলেও রক্ষা করে। ফলে ত্বক রোদে পোড়ে না। এছাড়াও এই ক্যারোটিনয়েডগুলি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

3.আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটস: আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটস আছে এমন খাবার খেলে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। গরমকালে ঘামের কারণে ত্বকের জলীয় অংশ রোদে শুষে নেয়।‌ বিভিন্ন সবজিতে থাকা এই ফ্যাটগুলো ত্বকের জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে ওমেগা থ্রি যথেষ্ট প্রয়োজনীয় একটি ফ্যাট। অ্যাভোকাডো, ওয়ালনাটে এই ফ্যাট বেশি পরিমাণে মেলে।

4.পানি: গরমে যে জিনিসটি আমাদের শরীরে সবচেয়ে কমে যায় ও যার জন্য ত্বকের ডিহাইড্রেশন ঘটে তা হল পানি । ডিহাইড্রেশন এর ফলে ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে পড়ে। কোষগুলোর কাজকর্মও ধীরগতিতে চলে। তাই গরমে পানির প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাধারণ পানির পাশাপাশি খান বিভিন্ন ফলের রস, পানির পরিমাণ বেলি এমন ধরনের খাবার, এছাড়াও নুনচিনির পানিও খেতে পারেন যাতে শরীরে পানির পাশাপাশি সোডিয়ামের ভারসাম্য ঠিক থাকে।

5. ভিটামিন সি: ত্বকের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হল ভিটামিন সি। সূর্যের বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের ক্যান্সার ঘটাতেও সক্ষম। একমাত্র ভিটামিন সি ই পারে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। শুধু তাই নয়, এটি ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে, এমনকী আটকায় পিগমেন্টেশনও। রোজকার খাবার তালিকায় তাই রাখুন ভিটামিন সি। যে কোনও টকজাতীয় খাবারেই ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আঙুর, লেবু, স্ট্রবেরি, জাম ইত্যাদি ফল ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস।



No comments

Theme images by Jason Morrow. Powered by Blogger.